মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার শ্রীপুরে আলোচিত স্কুল ছাত্রী রাজিয়া (১৪) হত্যার প্রধান আসামী হাসান র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

জেলার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নে হাটশ্রীকোল গ্রামের দরিদ্র কৃষকের মেয়ে স্কুল শিক্ষার্থী রাজিয়া খাতুনকে কুমার নদের চরে রসুনের ক্ষেতে একা পেয়ে প্রথমে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি যাতে কেউ জানতে না পারে এজন্য গলা টিপে হত্যা করে। এরপরও মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ব্লেড দিয়ে পোচ দেয় ধর্ষক হাসান।

হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতার ও হত্যার লোমহর্ষক বর্ননায় সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৬ এর কোম্পানী প্রধান লে: কমান্ডার এম নাজিউর রহমান এমনটাই জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এই লোমহর্ষক ঘটনা র‌্যাব জানার পর থেকেই তদন্ত শুরু করে। নজরদারী বৃদ্ধি সহ মৃত্যুর কারন উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু হয় ।র‍্যাব জানায়, আসামী হাসান শেখ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বীকার করেছে। ধর্ষণের পর ধারলো ব্লেড দিয়ে গলা কাটে এই নরপিশাচ। ঘটনা ছিলো পরিকল্পিত।

হত্যার ঘটনার পরের দিন ১৯ তারিখ (শনিবার) একই গ্রামের মোঃ ফজলু শেখের ছেলে মোঃ হাসান শেখকে (২৩) গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় ১৯ মার্চ (শনিবার) একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা মিখিজ শেখ। এতে হাসানকে প্রধান ও একমাত্র আসামী হিসেবে দেখানো হয়। আসামী হাসান শেখ পেশায় নসিমন চালক। নিহতের বাড়ির অদুরেই তার বসবাস।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজিয়া খাতুনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বাড়ির পাশে কুমার নদের পাড়ে এক বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা তাকে কেউ খুন করে রেখে যেতে পারে। তখন এ হত্যার ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। এরপর থেকে বিষয়টি র‍্যাবসহ পুলিশের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নেমে পড়ে এবং মূল আসামি আটক করতে সক্ষম হয়।

আসামী গ্রেফতার বিষয়ে নিহতের বড় ভাই রাজু শেখ বলেন, তারা এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার আশা করছেন।

এ দিকে স্কুল ছাত্রী রাজিয়া হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে ঐ স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীও শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শ্রীকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটি বলেন, আমরা এই ঘটনায় জড়িত দের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই । এরকম মর্মান্তিক ঘটনার পুনারাবৃত্তি তখনই হবে না যখন আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ বলেন, আমরা হতবাক হয়ে গেছি এই ঘটনায়। আমাদের বিদ্যালয়ে সে সবেমাত্র ভর্তি হয়েছে। তার স্বপ্ন, পরিবারের স্বপ্ন সব চুরমার হয়ে গেছে। আমরা আসামির ফাঁসি চাই।